Top News

'আমরা অবশ্যই নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে লড়ব, আমরা জিতবই' : সন্তানের লাশ নিয়ে বাবার শপথ

 

'আমরা অবশ্যই নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে লড়ব, আমরা জিতবই' : সন্তানের লাশ নিয়ে বাবার শপথ



        ইসরাইলি হামলায় নিহত এক ব্যক্তির লাশ - ছবি : আল জাজিরা

'আমরা অবশ্যই নেতানিয়হুর বিরুদ্ধে লড়ব, আমরা জিতবই'- সন্তানের লাশ নিয়ে এমন শপথই পাঠ করলেন এক ফিলিস্তিনি বাবা। গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় সন্তান নিহত হয়েছে। তিনি আশ-শিফা হাসপাতালের সন্তানের লাশ নিয়েই এই সংকল্প ব্যক্ত করেন। তার নাম সালামা মারুফ। তিনি গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস সরকারের মিডিয়া অফিসের প্রধান।

তিনি রোববার ক্যামেরার সামনে লাশটি দেখিয়ে চিৎকার করে বলেন, 'আপনারা যা দেখছেন, সেটাই সত্য।'

তিনি বলেন, "ইসরাইলি নেতারা এই কাজই করছে। তারা এসব লোককে হত্যা করে বলছে যে তারা 'অবকাঠামোতে' হামলা করছে। এ মাসুম বাচ্চাটির দিকে দেখুন। সে কি ইসরাইলের প্রতি হুমকি ছিল[?]'

ইসরাইল শনিবার রাতেও গাজায় ভয়াবহ বোমা হামলা চালায়।


আরো পড়ুন

আড়াই হাজার ‘সিগারেট খেয়ে’ আজ দিল্লির মাঠে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা!


রোববার দিল্লির স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিশাল পতাকা টেনে নিয়ে যাচ্ছেন কর্মীরা - ছবি : সংগৃহীত



বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়েছে, বয়স্কদের বাড়ি থেকে বেরোতে পইপই করে নিষেধ করা হচ্ছে, খুশখুশে কাশি শুরু হয়ে গেছে, লোকজন রাস্তাঘাটে বেরোচ্ছেন মাস্ক পরে – আর এরই মধ্যে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ম্যাচ!

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে গ্রুপ পর্যায়ের এই ম্যাচটাই এই ভেন্যুতে টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচ – কিন্তু নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দিল্লিতে বিশ্বকাপের ম্যাচ আইসিসি কিভাবে রাখতে পারল, সে প্রশ্নটাই এখন ঘুরেফিরে আসছে।

রোববার দুপুরের দিকে তবু একটু রোদ উঠেছিল– কিন্তু সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ২টায় ম্যাচ শুরুর আগে পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি না-হলে ম্যাচ রেফারি শেষ মুহূর্তেও ম্যাচ বাতিল ঘোষণা করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে দু’দলই একটি করে পয়েন্ট পেয়ে যাবে।

তবে দিল্লিতে আইসিসি-র ছোট-বড়-মেজ কোনো কর্মকর্তাই ‘ম্যাচ বাতিল’ শব্দটা ঘুণাক্ষরেও উচ্চারণ করছেন না– অনেক চাপাচাপিতে তারা শুধু এটুকুই বলছেন, 'সোমবার বেলার দিকে পরিস্থিতি দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে!'


মোহালির অভিশাপ?
আসলে প্রতি বছর অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বরের শুরু থেকেই দিল্লিতে এই পরিস্থিতি প্রায় রুটিন – দিল্লির নিজস্ব যানবাহনের আর শিল্পের দূষণ তো আছেই, কিন্তু বছরের এই সময়টায় তার সাথে যোগ হয় পাঞ্জাবের ‘পরালি’!

‘পরালি’ হলো ফসলের গোড়া, ক্ষেত থেকে যা উপড়ে না-ফেললে নতুন বীজ লাগানো যায় না। কিন্তু সেই পরালি ওপড়ানোর সব আধুনিক পদ্ধতিই বেশ খরচসাপেক্ষ, তাই পাঞ্জাবের কৃষকরা শরতের শেষ দিক থেকেই ঢালাওভাবে পরালি জ্বালাতে শুরু করে দেন।

ঠিক মাসখানেক আগে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম দুটি ম্যাচ কভার করতে যখন পাঞ্জাবের ওপর দিয়ে সড়কপথে ধরমশালা যাচ্ছিলাম, তখনই সেখানে এই পরালি জ্বালানো শুরু হয়ে গেছে পুরোদমে– হাইওয়ের দু’পাশে গমের ক্ষেতের ওপর পুরু হয়ে তৈরি হচ্ছে বিষাক্ত সাদা ধোঁয়ার চাদর।


Post a Comment

Previous Post Next Post